The Universal House of Justice
Ridván 2023
To the Bahá’ís of the World
Dearly loved Friends,
১) আমরা পুলকিত যে আমরা এমন এক সম্প্রদায়কে সম্বোধন করছি যাদের উচ্চ মনোবৃত্তি আর উচ্চ সঙ্কল্প তাদের প্রতি নির্দেশিত সমুচ্চ আহ্বানের সমকক্ষ। তোমাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা তীব্র শুধু নয় সুতীব্র। বাহাউল্লাহর শিক্ষার মাধ্যমে রূপায়িত জীবন-যাপন করার নিমিত্তে, নিদারুণ তৃষ্ণার্ত এক বিশ্বকে তাঁর ঐশী প্রত্যাদেশের জীবনদায়ী বারি প্রদান করার জন্য তোমাদের একনিষ্ঠ নিবেদিত প্রয়াস যখন আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়, তখন আমাদের চেতনা কতই না উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। উদ্দেশ্য সম্পর্কে তোমাদের সুদৃঢ় অনুভূতি সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত। সম্প্রসারণ ও দৃঢ়ীকরণ, সামাজিক কর্মকান্ড ও জনসাধারণের সঙ্গে কথোপকথন অব্যাহত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং এই সকল উদ্যোগের স্বাভাবিক সুসঙ্গতা ক্লাস্টার স্তরে ক্রমাগত ও অবিরামভাবে প্রতীয়মান হয়ে উঠছে। এটা সেই সব জায়গাতেই বেশি স্পষ্ট, যে সমস্ত জায়গায় জনসম্প্রদায় অধিক মাত্রায় এমন সব প্রচেষ্টায় বিজড়িত হচ্ছে যেগুলো প্রত্যেকটিই প্রভুধর্মের সমাজ নির্মাণকারী শক্তি অবমুক্তির এক একটি পথ।
২) নয়সালা পরিকল্পনা শুরু হওয়ার পর থেকে যে বারো মাস অতিবাহিত হয়েছে, তার মধ্যে যেভাবে এই বিশ্বব্যাপী উদ্যম বন্ধুদেরকে অনুপ্রাণিত ও চমকিত করেছে এবং কার্যক্রমের বিশিষ্ট কর্মধারাগুলিতে গতি সঞ্চার করেছে তাতে আমরা সুপ্রসন্ন। এই কার্যক্রমের বর্তমান কেন্দ্রবিন্দু হল সেই সমস্ত পরিকল্পনা কার্যকর করা, যা সুনিশ্চিত করবে যে প্রতিটি দেশ ও প্রতিটি অঞ্চলে যাতে অন্তত একটি ক্লাস্টার তৃতীয় মাইলফলক অতিক্রম করে। যেখানে এক বৃহৎ জনগোষ্ঠী মিলেমিশে কাজ করছে এবং এক স্পন্দনশীল সম্প্রদায় জীবন গঠনে অবদান রাখছে। আগামী পঁচিশ বছরের লক্ষ্য হল পৃথিবীর সমস্ত ক্লাস্টারে একটি প্রগাঢ় বৃদ্ধি প্রকল্প স্থাপন করা, এই বিষয়ে সজাগ থেকে বিশ্বাসীরা বিদ্যমান প্রগাঢ় বৃদ্ধির কার্যক্রমগুলি জোরদার করার সাথে সাথে প্রভুধর্মের জন্য নতুন নতুন ক্লাস্টার উন্মুক্ত করার প্রয়াস প্রবল করতে আরম্ভ করেছে। বিশ্বের সর্বত্রই যে পথিকৃৎদের উত্থান সম্ভব এ প্রসঙ্গে অধিকতর সচেতনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বহু নিবেদিত আত্মা চিন্তাভাবনা করছে যে কিভাবে এই সুযোগের প্রতি সাড়া দেওয়া যায়। অনেকে ইতোমধ্যেই পথিকৃৎদের জন্য নির্দিষ্ট স্থলে পৌঁছে গিয়েছে, লক্ষনীয়ভাবে স্বদেশীয় পথিকৃৎদের পাশাপাশি ক্রমশঃ অধিকতর মাত্রায় আন্তর্জাতিক স্তরেও এটা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটা সেই সকল পন্থার একটি, যার মাধ্যমে আমরা যেমন আশা করেছিলাম ঠিক তেমনভাবে সকল এলাকার বন্ধুবর্গ পারস্পরিক সমর্থনের চেতনাকে ব্যক্ত করছে। যে সমস্ত সম্প্রদায়ে ইতোমধ্যেই শক্তি অর্জিত হয়েছে সেখানকার বন্ধুরা অন্য এক স্থলের অগ্রগতির সহায়তায় অঙ্গীকারাবদ্ধ, যা অন্য আরেক ক্লাস্টার, অঞ্চল, দেশ এমন কি মহাদেশও হতে পারে। দূর থেকে উৎসাহ দেবার এবং অভিজ্ঞতা সরাসরি ভাগ করে নেবার জন্য বহু সৃজনশীল উপায় আবিষ্কৃত হয়েছে। ইত্যোবসরে মূল পন্থা, অর্থাৎ এক ক্লাস্টারে অর্জিত শিক্ষা লিপিবদ্ধ করা, যাতে তা স্থানীয় স্তরে ও অন্যত্র গৃহীত পরিকল্পনা অবহিত করে ব্যাপকভাবে অনুশীলন করা যায়। আমরা এই দেখে তৃপ্ত যে ইনস্টিটিউট প্রদত্ত শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার গুণগত মানোন্নয়ন কিভাবে করা যায় তা শেখার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। যখন ইনস্টিটিউট প্রক্রিয়া কোন সম্প্রদায়ের অভ্যন্তরে শিকড় বিস্তার করে তখন তার প্রভাব হয় নাটকীয়। উদাহরণস্বরূপ প্রত্যক্ষ করুন সেইসব প্রগাঢ় কার্যক্রমের কেন্দ্র যেখানকার অধিবাসীরা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে নিজেদের এক শক্তিশালী যন্ত্র হিসাবে ভাবে, এমন এক যন্ত্র যার পাকাপোক্ত বিকাশের মুখ্য দায়িত্ব তারা নিজেদের কাঁধে নিয়েছে। তারা ভালোভাবেই জানে যে প্রভুধর্মের দ্বার সর্বদাই প্রশস্তভাবে উন্মুক্ত, এটা জেনে তারা শিখছে যে যারা প্রবেশ করতে প্রস্তুত তাদের কিভাবে উৎসাহিত করতে হবে। এইসব আত্মাদের সঙ্গে সঙ্গে চলা, দ্বারপ্রান্ত অতিক্রম করতে তাদের সহায়তা করা এক সৌভাগ্য ও বিশেষ আনন্দ। প্রত্যেক সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটেই স্বীকৃতি ও অন্তর্ভুক্তির এই গতিশীল অনুরণনময় মূহুর্ত সম্বন্ধে অনেক কিছু শেখার আছে। ব্যস এটাই সব নয়, যদিও অনেক ক্লাস্টারেই সামাজিক রূপান্তরে অবদান রাখার প্রচেষ্টা একেবারে প্রাথমিক স্তরে আছে, জাতীয় আধ্যাত্মিক পরিষদগুলি উপদেষ্টাগণের কুশলতাপূর্ণ সমর্থনে সক্রিয়ভাবে এই বিষয়ে শিক্ষারত যে, কিভাবে এই প্রয়াসগুলি সম্প্রদায় নির্মাণকারী প্রক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়। একটি জনমন্ডলীর সামাজিক ও বৈষয়িক কল্যাণ সম্বন্ধে এইসকল আলোচনা গ্রুপ অব ফ্যামিলি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে চর্চিত হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুরা চারদিকের নিকট পরিবেশে উন্মুক্ত হতে থাকা অর্থপূর্ণ কথোপকথনেও অংশগ্রহণ করতে শিখছে।
৩) আমরা যা কিছু বর্ণনা করেছি তার মধ্যে তরুণদের কর্মকান্ড উজ্জ্বলভাবে প্রদীপ্ত। প্রভাব শুভ হোক বা না হোক, প্রভাবের নিষ্ক্রিয় শোষক হওয়া তো দূরের কথা, তারা এটা প্রমান করে দিয়েছে যে তারা পরিকল্পনার নির্ভীক ও বিচক্ষণ নায়ক। যেখানেই সম্প্রদায় তাদেরকে এই আলোকে দেখেছে ও তাদের অগ্রগতির অনুকূল পরিস্থিতি সৃজন করেছে, সেখানেই তারা তাদের প্রতি অর্পিত বিশ্বাস আশাতীতভাবে ন্যায্য প্রমান করেছে। ওরা নিজেদের বন্ধুদের প্রভুধর্মের শিক্ষাদান করছে এবং সেবাকে অধিকতর অর্থপূর্ণ বন্ধুত্বের বুনিয়াদে পরিণত করছে। প্রায়শই এই সেবা তাদের থেকে ছোটদের শিক্ষাদানের রূপ নেয়, কেবল নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা নয়, অনেক সময় তাদের স্কুলের পড়াশোনাতেও ওরা সাহায্য করে। ইনস্টিটিউট প্রক্রিয়াকে মজবুত করার পবিত্র দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে আমাদের সব লালিত আশা তারা পরিপূর্ণ করছে।
৪) এই সকল প্রয়াসের পরিপ্রেক্ষিত গহীনভাবে অস্থির এক কাল। এই কথা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে বর্তমান সমাজের কাঠামো মানুষের এখনকার সমস্যার নিরসন করার জন্য প্রস্তুত নয়। বহু বিষয় যা পূর্বে নিশ্চিত ও স্থির হিসাবে পরিগণিত হতো তার উপর প্রশ্ন উঠছে এবং পরিণামে সৃষ্ট বিক্ষোভ এক ঐক্যসাধনকারী দৃষ্টির আকাঙ্খার জন্ম দিচ্ছে। একত্ব, সমতা ও ন্যায়ের সমর্থনের ঐকতান এটাই দেখায় যে অসংখ্য মানুষ নিজেদের সমাজের জন্য এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করে। অবশ্যই আশীষপুতঃ সুষমার অনুসারীদের কাছে এটা বিস্ময়কর নয় যে তাঁর প্রস্তাবিত আধ্যাত্মিক আদর্শসমূহের জন্যে মানবহৃদয় লালায়িত থাকবে। তথাপি আমরা ইহাকে মর্মস্পর্শী মনে করি যে, এমন এক বছরে যখন মানবতার সামগ্রিক অগ্রগতির সম্ভাবনা কদাচিৎ ঘোর তমসাচ্ছন্ন বলে মনে হয়েছিল, দশ হাজারের বেশি সম্মেলনে প্রভুধর্মের প্রকাশ আশ্চর্যজনক দীপ্তির সঙ্গে ঘটে, যাতে প্রায় পনের লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করে এবং ঐ সকল আদর্শের উন্নতি বর্ধনের উপায়ের প্রতি ধারণা কেন্দ্রীভূত করে। বাহাউল্লাহর দর্শন এবং বিশ্বের উন্নতিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য মানবজাতির প্রতি তাঁর আবাহন, একেই কেন্দ্র করে সমাজের বিবিধ তত্ত্ব উৎসুকভাবে একত্রিত হয়। এটা আশ্চর্যজনক কিছু নয় কারণ আব্দুল-বাহা ব্যাখ্যা করেছেন "বিশ্বের সমস্ত সম্প্রদায় এই ঐশী শিক্ষাবলীর মাঝে তাদের উচ্চতম আকাঙ্খার অভিব্যক্তি খুঁজে পায়।" প্রারম্ভিকভাবে মানবতার কিছু কিছু শুভচিন্তক এক সমবর্তিত ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত বিশ্বের আশ্রয় ও শরণস্থল রূপে বাহাই সম্প্রদায়ের প্রতি আকর্ষিত হয়। তথাপি শরণাস্থলের ধারণা অতিক্রম করে তারা কুটুম্ব আত্মাসমূহকে খুঁজে পায় যারা এক সাথে মিলে বিশ্বকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য পরিশ্রম করছে।
৫) সম্মেলনসমূহের ভৌগোলিক বিস্তারের বিষয়ে, নতুন পরিকল্পনায় অসাধারণ অনুপ্রেরণা প্রদান সম্পর্কে অথবা উপস্থিত জনহৃদয়ে উৎসারিত আনন্দ ও উদ্দীপনা নিয়ে অনেক কিছুই লেখা সম্ভব। কিন্তু পরের কয়েকটি পংক্তিতে আমরা প্রভুধর্মের বিকাশের ক্ষেত্রে এর কী তাৎপর্য, সেই প্রসঙ্গের প্রতিই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। এগুলি ছিল সেই বাহাই সম্প্রদায়ের প্রতিবিম্ব যা একে অপরকে ভেদাভেদ না করে কুটুম্ব হিসেবে দেখে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে যে সম্মেলনে সবাই স্বাগত, সেখানে নয়সালা পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্লেষণ করা স্বাভাবিক হয়ে যায়। বন্ধুরা শুধু ব্যাক্তি ও পরিবার নয়, স্থানীয় নেতা ও কর্তৃপক্ষদের সাহচর্যে নিজেদের সমাজের উপর পরিকল্পনার নিহিতার্থ বিচার করতে সক্ষম হয়। এতো লোককে এক সাথে এক জায়গায় জড়ো করার ফলে আধ্যাত্মিক ও সামাজিক প্রগতি সম্পর্কে এক রূপান্তরকারী কথোপকথনের উপযুক্ত পরিবেশ উৎপন্ন হয়, যে কথোপকথন ক্রমশঃ সমগ্র বিশ্বে অনাবৃত হতে থাকছে। ক্লাস্টারে সম্প্রদায় উন্নয়নের বিস্তারিত হতে থাকা ছকের উপর এই প্রকার সম্মেলন, যা একাধারে উৎসাহব্যঞ্জক ও উদ্দেশ্যপূর্ণ, যে বিশেষ অবদান রাখে তা বাহাই প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে এক মূল্যবান শিক্ষা যা তারা ভবিষ্যতের জন্য মনে রাখবে।
৬) আর এই ভাবেই নিষ্ঠাবান ভক্তমন্ডলী তারা কী অর্জন করতে চায়, সে সম্পর্কে এক নবীন দৃষ্টিভঙ্গি ও গভীর অন্তর্দৃষ্টি সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনার দ্বিতীয় বছরে প্রবেশ করল। সমাজ নির্মাণকারী শক্তির অবমুক্তির আলোকে দেখলে কার্যক্রমকে কতই না স্বতন্ত্র মনে হয়। এই বিস্তৃতির সম্ভাবনা একটি টেকসই কার্যক্রমকে শুধুই একটি সেবাকার্য বা ডেটা পয়েন্ট না ভেবে আরো অনেক বড় কিছু ভাবার অবকাশ দেয়। এক স্থল থেকে আরেক স্থলে, চলতে থাকা উদ্যোগগুলি জানান দেয় যে, এখানে এমন এক জনগোষ্ঠী বিরাজমান, যারা শিখছে কিভাবে নিজেদের উন্নয়নের পথ খোঁজার ক্রমবর্ধমান দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে হয়। পরিণামে যে আধ্যাত্মিক ও সামাজিক রূপান্তর ঘটে তা জনজীবনে বিভিন্নভাবে প্রতিভাত হয়। পূর্বের পরিকল্পনাগুচ্ছে সমষ্টিগত উপাসনা ও আধ্যাত্মিক শিক্ষাক্রমে এটি সব থেকে স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছিল। নতুন পরিকল্পনাগুচ্ছে ক্রমবর্ধমানভাবে সেই সব প্রক্রিয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া আবশ্যক যা সম্প্রদায়ের উন্নতি সাধনে সক্ষম - উদাহরণস্বরূপ জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন, পরিবেশের সুরক্ষা, অথবা শিল্পকলার শক্তিকে আরো কার্যকরভাবে ব্যবহার করা। পরস্পরের পরিপুরক এই সব প্রয়াসের জন্য যা প্রয়োজন তা হলো পদ্ধতিগত শিক্ষাক্রমে নিযুক্ত থাকার সামর্থ্য, সেই সামর্থ্য যা ঐশী শিক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ফলশ্রুতিতে পূঞ্জীভূত মানব জ্ঞানের ভান্ডার উভয় থেকেই উদ্ভূত অন্তর্দৃষ্টিকে কাজে লাগাতে সক্ষম। এই সামর্থ্যের বৃদ্ধির সাথে সাথে আগামী দশকগুলিতে অনেক কিছুই অর্জিত হবে।
৭) এই সম্প্রসারিত সমাজ নির্মাণকারী দৃষ্টির প্রভাব সুদূরপ্রসারী। প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজের নিজের পথে এই সার্থকতার দিকে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু এক জায়গার প্রগতি আর আরেক জায়গার প্রগতির মধ্যে প্রায়শই একই ধরণের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন এক বৈশিষ্ট্য হল সামর্থ্য যত বৃদ্ধি পায় স্থানীয় ও জাতীয় সম্প্রদায়ের শক্তি তত গুণ বেড়ে যায়। তারপর সময়ের পূর্ণতায় রিজওয়ান ২০১২ এর বার্তায় মাশরিকুল আযকার এর উদ্ভবের জন্য স্থির করা শর্ত অবশেষে পরিপূর্ণ হয়। শেষ রিজওয়ান বার্তায় আমরা ইঙ্গিত করেছিলাম যে পর্যায়ক্রমে আমরা সেই সব স্থান সনাক্ত করব যেখানে বাহাই উপাসনালয় নির্মাণ করা হবে। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এই সময়ে নেপালের কাঞ্চনপুর এবং জাম্বিয়ার ম্যুনিলুঙ্গাতে স্থানীয় উপাসনালয় স্থাপন করার আহ্বান করা হলো। এছাড়াও আহ্বান জানানো হচ্ছে কানাডার জাতীয় উপাসনালয় স্থাপনের যা টরন্টোর দীর্ঘ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় হাজিরাতুল কুদ্স এর কাছাকাছি নির্মিত হবে। এই প্রকল্প এবং ভবিষ্যতের অন্যান্য যে সব প্রকল্প শুরু হবে তা টেম্পল ফান্ডে প্রদত্ত পৃথিবীর সব দেশের বন্ধুদের সহায়তা থেকে লাভবান হবে।
৮) কল্যাণময় প্রভু তাঁর পরমপ্রিয়জনদের উপর অঢেল আশীর্বাদ বর্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আহ্বান সমুচ্চ, সম্ভাবনা দুর্দান্ত। সময় সংক্ষিপ্ত যার মধ্যে আমরা সেবার জন্য নিমন্ত্রিত। তাই আমাদের প্রার্থনা আবেগপূর্ণ যা তোমাদের এবং তোমাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার জন্য আমরা বাহাউল্লাহর দ্বারপ্রান্তে যাচনা করি।
- The Universal House of Justice